আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩– আমাদের সবার ইচ্ছা থাকে পৃথিবীর রাজধানী আমেরিকা গিয়ে বসবাস করা। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া এক সময় দুঃসাধ্য বিষয় ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমেরিকা সরকার বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে একজন নাগরিক চাইলে আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু এজন্য একজন গ্রাহককে আমেরিকা জব ভিসার নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে। আমাদের ব্লগে অনেকে কমেন্ট করেন আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩, আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও আমেরিকান ভিসার দাম কত ইত্যাদি নিয়ে। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম সর্বপ্রথম আমেরিকা কাজের ভিসা চালু করে। ডোনাল্ড ট্রাম যখন কাজের নেশা চালু করে তখন তার নাম ছিল জব ভিসা। এরপর যখন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তখন আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।
কিন্তু আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে মোটামুটি ভাবে ইংরেজি জানতে হবে। আপনার যদি ইংরেজি ভাষার প্রতি বেশি দক্ষতা থাকে। তাহলে আমেরিকা কাজের ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবে। অনেকে আমেরিকা জব ভিসার জন্য IELTS স্কোর এর কথা বলে। কিন্তু এমন অনেক আমেরিকান জব রয়েছে যেগুলোতে আপনি IELTS স্কোর ছাড়াই যেতে পারবেন।
তবে আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথোপকথন করতে হবে। আমেরিকা যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা শিখতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় বায়ারদের সাথে কথা বলতে না পারেন। আমেরিকান কোম্পানি যখন আপনার ইন্টারভিউ নেবে, তখন যদি আপনি তাদের সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন। তাহলে আপনি কিন্তু আমেরিকা যেতে পারবেন না।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আমেরিকায় গিয়ে যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ আমেরিকা কাজ করার জন্য যায়। আপনিও যদি আমি একা কাজ করার জন্য যান তাহলে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।
বর্তমান সময়ে আমেরিকা কাজের ভিসা চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকা ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দালাল সংস্থা চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আপনাকে এরকম চটকদার বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকতে হবে। আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনার প্রথম করণীয় হল ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ভালো কথা বলতে পারেন। আপনার যদি ইংরেজি ভাষায় কোয়ালিফিকেশন অনেক ভালো থাকে। তাহলে খুব অল্প দিনে আপনি আমেরিকান ভিসা পেয়ে যাবেন।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য কখনো কোন দালাল সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন না। ধরুন আপনি ইংরেজিতে ভালো কথোপকথন করতে পারেন না। কিন্তু একটি দালাল সংস্থা বলছে আপনাকে আমেরিকা ওয়ার্ক ভিসা করে দেবে। কিন্তু আপনি এখন ভাবুন, আমেরিকা ইংরেজি ভাষাভাষীর একটি দেশ।
আপনি যদি আমেরিকায় গিয়ে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন। তাহলে ওখানে গিয়ে আপনি কি কাজ করবেন। এ কারণে এরকম চটকদার কোন বিজ্ঞাপন দেখে ভিসার জন্য চুক্তিবদ্ধ হবেন না। আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে থাকুন।
আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ
আমেরিকা কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত একই। আমেরিকা কাজের ভিসার মূল্য কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। কারণ আপনি আমেরিকা গিয়ে যে কোম্পানিতে কর্মরত হবেন, সেই কোম্পানি যদি আপনার সকল খরচ বহন করে। তাহলে আপনার ভিসার খরচ কমে যাবে।
আবার সেই কোম্পানি যদি আপনার খরচ বহন না করে। তাহলে আপনার ভিসা করতে অনেক টাকা লাগবে। কিন্তু অনেক অনেক বলা যায় আমেরিকা কাজের ভিসার মূল্য আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা। আপনাদের সামনে একটি আনুমানিক হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
আমেরিকা কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট।
- পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
- দেশী নাগরিকত্ব সনদপত্র।
- কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সনদ।
- স্পনসরকারীর মনোনয়ন পত্র।
- ভোটার আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধন পত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল ফিটনেস এর সনদ।
- লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
আমেরিকা কাজের ভিসা আবেদন
আমেরিকা কাজের জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। বর্তমানে আপনি চাইলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে এই https://bd.usembassy.gov/visas/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনার সকল ইনফরমেশন দিয়ে আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হবে।
কিন্তু যারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন না। আপনারা চাইলে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনি ভিসা সংক্রান্ত কোনো জালিয়াতের শিকার হবেন না।
উপসংহার
আশা করি আমেরিকা কাজের ভিসা ও আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন। আমরা আপনাদের সামনে কাজের ভিসা ও জব ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরেছি। আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় কথা বলা শিখতে হবে।
কারণ ইংরেজি ভাষায় কথা না বলতে পারলে আপনি কখনো আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা র জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এ কারণে আপনাকে সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর আপনাকে বৈধভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাহলে আপনি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে পারবেন।