এছাড়াও কানাডা ভিসা খরচ, কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করবো। কানাডা ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে, আমাদের এই টিউটোরিয়ালটি পড়তে থাকুন। কারণ কানাডা ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে ও কানাডা ভিসা খরচ কত তা জানতে পারবেন।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি
বর্তমান সময়ে কানাডায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে। আপনি যদি কানাডা যেতে চান, তাহলে কানাডা ভিসার ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা কানাডায় কয়েক রকমের ভিসা পাওয়া যায়। আপনি যদি পড়াশোনার জন্য কানাডায় যেতে চান, তাহলে আপনার এক রকম ভিসা লাগবে। আবার যদি আপনি কাজ করার জন্য কানাডায় যান, তাহলে আপনার ভিন্নরকম ভিসা লাগবে। এ কারণে আসুন জেনে নেই, কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি গুলো নিম্নরূপ:
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- কানাডা জব ভিসা
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা
- কানাডা শ্রমিক ভিসা
- কানাডা মেকানিক্যাল ভিসা
- কানাডা ফ্রি ভিসা
- কানাডা টুরিস্ট ভিসা
- কানাডা ইমিগ্রেশন ভিসা
- কানাডা কৃষি ভিসা
উপরোক্ত এই কয়েকটি ভিসার মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারবেন। আপনি যদি পড়াশোনার জন্য কানাডা যেতে চান, তাহলে আপনাকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা চয়েস করতে হবে। আবার আপনি যদি কানাডায় ভ্রমণ করতে চান, তাহলে আপনাকে কানাডা টুরিস্ট ভিসা করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি কানাডা কাজ করার জন্য যান, তাহলে আমার আপনাকে কানাডা কৃষি ভিসা ও শ্রমিক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আশা করি কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
প্রত্যেক বছর আমাদের দেশ থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রবাসে যাচ্ছে। কিছুদিনের আগে কানাডা ভিসা দীর্ঘ দিনের জন্য বন্ধ ছিল। কিন্তু যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একটু কমেছে, তখন আবার পুনরায় কানাডা ভিসা চালু করা হয়েছে।
এখন আপনি চাইলে খুব সহজে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানার পর, এখন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী ভিসার মাধ্যমে কানাডা যাবেন। কিন্তু কানাডায় সবথেকে জনপ্রিয় ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। কারণ আমাদের বেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ কাজ করার জন্য কানাডায় যায়।
এই কারণে আপনি যদি কানাডায় কাজ করার জন্য যেতে চান, তাহলে আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কানাডা স্থায়ীভাবে বসবাসের পূর্ব শর্ত আপনার একটি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে।কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কাজ করার আগে, কানাডা অবস্থানরত একজন নাগরিকের রেফারেল লাগবে।
অর্থাৎ কানাডাতে অবস্থানরত একজন লোকের অনুমতি ছাড়া, আপনি কানাডা যেতে পারবেন না। এখন আপনার ক্ষেত্রে এই কাজটি করা অসম্ভব। কারণ কানাডার নাগরিকত্ব আপনার কোন নিকটাত্মীয় না। এজন্য আপনাকে কানাডা জনবল নিয়োগ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেই অফিসের সাথে যোগাযোগ করার পরে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা
আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য কানাডা যাচ্ছে। আপনি শুধু পড়াশোনার জন্য কানাডা যেতে চান, তাহলে আপনাকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য এপ্লাই করতে হবে। কিন্তু কানাডা আপনার পরিচিত একজন নাগরিক থাকতে হবে।
কানাডায় যদি আপনার কোন নিকট আত্মীয় থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই কানাডা যেতে পারবেন। এছাড়াও কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যে আবার আরেকটি শর্ত রয়েছে। কানাডা যেহেতু ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশ। এজন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস হতে হবে। এছাড়াও আপনি ইংরেজি ভাষায় কতটা পারদর্শী, এটা চেক করার জন্য আপনার IELTS স্কোর ৪.০০ পয়েন্ট হতে হবে। এই দুটি শর্ত পূরণ করলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডা টুরিস্ট ভিসা
কানাডা যাওয়ার আগে, এই দেশ সম্পর্কে একটু জেনে রাখা ভালো। কানাডা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই দেশের যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তেমনি এই দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক ভালো। আমাদের পেইজ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০০০ জন পর্যটক, কানাডায় ভ্রমণ করতে যায়।
কানাডা ভ্রমণ করার জন্য ৩-৪ লক্ষ টাকা লাগে। আমাদের দেশের যারা উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন করে। তারাই কানাডা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে। কানাডা সৌন্দর্যের দিক থেকে সবার শীর্ষে। এই কারণে আমাদের দেশ থেকে এত লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষ কানাডা যায়। আপনি যদি কানাডা ভ্রমণ করতে চান, তাহলে আপনাকে কানাডা টুরিস্ট ভিসা করতে হবে।
কানাডা কৃষি ভিসা
কানাডা উন্নতশীল দেশ বলে, তাদের দেশে কাজ করার জনসংখ্যা অনেক কম। এই কারণে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে জনসংখ্যা আমদানি করে। কানাডা উন্নতশীল দেশ হলেও এই দেশে অনেক কৃষি কাজ রয়েছে। এ কারণে প্রতিবছর কানাডা সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করে।
আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর কানাডা প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক রপ্তানি করা হয়। কারণ একজন শ্রমিক যদি কানাডায় গিয়ে কর্মরত হয়, তাহলে আমাদের দেশে অনেক আয় বাড়বে। এছাড়াও দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য, বিদেশে শ্রমিক রপ্তানি করতে হয়।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি জানার পর, আপনি যদি কানাডা গিয়ে কৃষি কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে কানাডা কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তু আপনাকে ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষ হতে হবে। যারা ইংরেজিতে ভালো কথোপকথন করতে পারে, তাদের জন্য কানাডা যাওয়া অনেকটা সহজ।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা যাওয়ার আগে, কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ কানাডা অনেক রকমের ভিসা পাওয়া যায়। কানাডা যাওয়ার পূর্ব শর্ত আপনাকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। কানাডা যাওয়ার দ্বিতীয় শর্ত হলো, আপনাকে সরকারিভাবে কানাডা যেতে হবে।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার আগে, আপনি কানাডা গিয়ে কাজ করতে চান এটা জানতে হবে। কারণ কানাডায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ রয়েছে। আপনি যদি কানাডা কোন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেখেন, তাহলে সরকারি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
এছাড়াও আপনার কাজের জন্য যদি প্রশিক্ষণ লাগে, তাহলে আমাদের দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আপনি যদি ইংরেজিতে কথা বলতে কোন সমস্যা হয়। তাহলে ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটা শর্ত পূরণ করলে, আপনি খুব সহজে কানাডা যেতে পারবেন।
শেষ কথা
আজকে আমরা শিখলাম, কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি গুলো কি কি। এছাড়াও কিভাবে কানাডা যাওয়া যায় এটা আলোচনা করেছি। আপনি যদি দেশে দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকেন। তাহলে দেশে বেকার অবস্থায় বসে থাকবেন না। আপনি দেশের বাইরে গিয়েও কাজ করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যখন বিদেশে গিয়ে কাজ করবেন, তখন আপনার দেশের রেমিটেন্স অনেক বৃদ্ধি পাবেন। তাই আপনি যদি কানাডা যেতে চান। তাহলে বাংলাদেশ প্রবাসী মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত জানুন। কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে। আমাদের ব্লগে কমেন্ট করতে পারেন।