মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা– দীর্ঘ কয়েক বছর পর মালয়েশিয়া ভিসা পুনরায় আবার চালু করা হয়েছে। বর্তমান মালয়েশিয়া শ্রম বাজারে বাংলাদেশ থেকে অনেক জনশক্তি আমদানি করা হচ্ছে। আপনিও যদি মালয়েশিয়া গিয়ে একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান। তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক বড় একটি সুখবর। 

কারণ মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আমাদের দেশ থেকে অনেক প্রবাসী ভাই ও বোনেরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছে। তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটে এবার মালয়েশিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের জন্য একটি সুখবর। আপনি যদি মালয়েশিয়ায় গিয়ে কর্মকর্তা হতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে আমরা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা,মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা, মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও মালয়েশিয়া ভিসা করতে কি কি লাগবে তার সম্পর্কে আলোচনা করবো। 

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা

আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করার জন্য মালয়েশিয়া যাচ্ছে। মালয়েশিয়া কাজের ভিসা নিয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন রকমের কাজ করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এর মধ্যে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। প্রতিবছর ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে অনেক লোক মালয়েশিয়া কর্মরত হচ্ছে। 

মালয়েশিয়া নিয়ে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে হলে আপনাকে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হবে। মালয়েশিয়া অধিকাংশ ফ্যাক্টরিতে আপনাকে দাঁড়িয়ে থেকেই কাজ করতে হবে। সাধারণত আপনার প্রতিদিনের ডিউটি হবে আট ঘন্টা। এর পাশাপাশি আপনি তিন থেকে চার ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করতে পারবেন। অতিরিক্ত কাজ করার জন্য আপনাকে আলাদা বোনাস দেয়া হবে। 

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কেমন

যারা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের প্রথম প্রশ্ন থাকে কেমন টাকা ইনকাম হবে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কখনো কেউ সঠিক বলতে পারবে না। কিন্তু আপনাদের একটি আনুমানিক হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি মালয়েশিয়ান ফ্যাক্টরিতে মোট 12 ঘন্টা কাজ করেন, তাহলে প্রতিদিন বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দুই হাজার টাকা পাবেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে আপনি প্রায় ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা

মালয়েশিয়া দেশে এমন অনেক প্রাইভেট কোম্পানি রয়েছে যারা প্রতিবছর অনেক লোক নিয়োগ দিচ্ছে। আপনিও বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা যেতে পারেন। মালয়েশিয়া কোম্পানির ভিসার কাজ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হবে। 

অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানিতে ক্লিনারের কাজ করা। আবার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে বিভিন্ন রকমের কাজ করতে হবে। আপনি যদি এরকম কাজ করতে ইচ্ছুক থাকেন। তাহলে কোম্পানি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে পারেন। 

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চান। আপনি যদি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যেতে চান। তাহলে খরচ আনুমানিক প্রায় ছয় লক্ষ টাকা পড়বে। আবার যদি মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা লাগবে। আবার ছাড়া মালয়েশিয়া ভ্রমণ করার জন্য যায় তাদের খরচ তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। 

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • বর্তমানে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করতে হবে। 
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ২ বছর থাকতে হবে। 
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র হতে পারে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ভোটার আইডি কার্ড। 
  • আবেদনকারী সদ্য তোলা ২ বাই ২ সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর রঙিন ছবি। 
এছাড়াও পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। এগুলো কাগজপত্র ছাড়াও আপনার যদি কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। তাহলে ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দেবে। 

শেষ কথা

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ও মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা নিয়ে আজকের টিউটোরিয়াল এখানেই শেষ করছি। মালয়েশিয়া কাজের ভিসার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি ভিসা হল ফ্যাক্টরি ভিসা। এছাড়াও ফ্যাক্টরি ভিসা হয়ে গেলে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

আমাদের দেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের সবাই ফ্যাক্টরি ভিসা মালয়েশিয়া যেতে চায়। কারণ মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সুবিধা অনেক বেশি ও অনেক বেশি নিরাপদ। তো আজকের মালয়েশিয়া ভিসা সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করুন। 

Previous articleবাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় | সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
Next articleরোমানিয়া বেতন কেমন ২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here