রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম ও রাইস কুকার ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। ভাই আপনি যদি ওর রাইস কুকার সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আজকের এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
বর্তমান সময় রান্না কে সহজ করে দিয়েছে রাইস কুকার। রাইস কুকার এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভাত রান্না করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ভাত রান্নার পাশাপাশি তরকারিও রান্না করা যায় রাইস কুকারের মাধ্যমে।
রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম ও সুবিধা
কিভাবে রাইস কুকার ব্যবহার করতে হয় তা কিন্তু আমাদের অনেকের অজানা রয়েছে। তাই সকল নতুন গ্রাহকদের জন্য আজকে রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই দেরি করে চলুন আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।
রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম
রাইস কুকার যেহেতু বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই কারণে আমাদের অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে রাইস কুকার ব্যবহার করতে হবে। প্রথমত আপনি ভাগ্য তরকারি যেটাই রান্না করুন না কেন। রাইস কুকারের চুলায় ও তলায় যেন পানি না থাকে এই বিষয়ে প্রথমে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
যে কোন কিছু রান্না করার আগে আপনাকে ভালো করে তোলানি মুছে দিতে হবে। তারপর আপনি রান্না শুরু করতে পারেন। ভাত রান্না করার সময় পরিমাণ মতো আপনাকে পানি দিতে হবে। তারপর ভাত যখন বলক উঠবে তখন আপনাকে ঢাকনাটা খুলে দিতে হবে।
আবার আপনি যখন রাইস কুকারের মাধ্যমে তরকারি রান্না করবেন। প্রথমে আপনাকে তেল দিতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজ, মরিচ, গুড়া হলুদ অন্যান্য সকল সামগ্রী দিতে হবে। তারপর তরকারি দিয়ে ঢেকে যেতে হবে। কিছুক্ষণ পর সুন্দরভাবে নাড়া দিতে হবে। তারপর সর্বশেষ আপনাকে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে তরকারি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সাধারণত বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। আর সেই খিচুড়ি যদি হয় রাইস কুকার এর মাধ্যমে। তাহলে তো সেটা অনেক ভালো হয়। রাইস কুকারে খিচুড়ি রান্না করা একদম সহজ।
এজন্য আপনাকে প্রথমেই সবকিছু একত্রে করতে হবে। চাল,ডাল, মাংস, পেঁয়াজ সবজি ও অন্যান্য সকল উপাদান একত্রে করে আপনাকে রাইস কুকারে খিচুড়ি তুলে দিতে হবে। তারপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করলে আপনার খিচুড়ি তৈরি হয়ে যাবে।
ভিশন রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম
নতুন অবস্থায় সহজ জিনিস কিন্তু আমাদের কাছে কঠিন মনে হয়। ঠিক তেমনিভাবে নতুন যারা রাইস কুকার কিনেছেন। তারা কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হয় তা কিন্তু সঠিক জানেন না। যেকোনো রাইস কুকার ব্যবহার করতে হলে আপনাকে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আপনি যদি রাইস কুকারের মাধ্যমে ভাত রান্না করেন। তাহলে পরিমাণ মতো চাল ও পানি দিয়ে রান্না বসিয়ে দিন। তারপর আপনাকে সুইচের নিচের বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর ভাত হর সঙ্গে সঙ্গে সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। যখন সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে তখনই আপনি বিদ্যুতের কানেকশন বিচ্ছিন্ন করে দিবেন।
শেষ কথা
আশা করি, রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। রাইস কুকার ব্যবহার করা খুব একটি কঠিন কাজ না। এছাড়াও আপনি যদি ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখে নিতে পারেন। তাহলে এটা আপনার জন্য থেকে ভালো হবে।