লন্ডনের ভিসার দাম কত: জীবিকা নির্বাহ করার জন্য মানুষ, দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। সৌদি আরব থেকে শুরু করে কাতার, দুবাই ও কানাডায় কর্মরত হচ্ছে সবাই। কিন্তু এই কয়েকটি মধ্যম আয়ের দেশ বলে, তাদের বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম হতো না। অনেক প্রবাসী ভাবতো, আল্লাহ যদি লন্ডন যাইতে পারতাম। তাহলে আমাদের জীবিকা নির্বাহ আরো অনেক ভালো হতো। 

লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে

যখন একজন মানুষের লন্ডনে যাওয়ার অনেক ইচ্ছা ছিল। কিন্তু লন্ডন বাংলাদেশ থেকে কোন শ্রমিক নিতো না। তখন একজন প্রবাসী মধ্য আয়ের এর দেশগুলোতেই কর্মরত থাকতো। এছাড়াও লন্ডনের ভিসার দাম অনেক বেশি ছিল।কিন্তু বর্তমানে নতুন যে সকল যুবক লন্ডনের যেতে চাচ্ছে। তাদের জন্য দারুন একটা সুখবর রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আপনি লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে লন্ডন যেতে পারবেন। 

 

এই সুযোগ ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। আপনি এই খবরটা শুনে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দিত। আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় থাকবে,লন্ডনের ভিসার দাম কত ও লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে। আপনি যদি লন্ডন যেতে ইচ্ছুক থাকেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আর্টিকেলটি এড়িয়ে না গিয়ে, খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


লন্ডনের ভিসার দাম কত

লন্ডনে যাওয়ার আগে, লন্ডনের ভিসার দাম কত এটা আগে জানতে হবে। কারণ আপনার কাছে যদি ভিসার মূল্য না থাকে, তাহলে আপনি কখনো লন্ডন যেতে পারবেন না। লন্ডনের ভিসার দাম নির্ভর করে, আপনি লন্ডনে কি কাজে যাবেন। আপনি যদি লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যান, সেক্ষেত্রে আপনারা খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা। 


আমার আপনি যদি লন্ডনে কিছুদিনের জন্য অবস্থান করেন। তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৯ মাসের টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে। ৯ মাসের টুরিস্ট ভিসার মূল্য ৮ হাজার টাকা। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জন্য মূলত তারাই আবেদন করতে পারবে, যারা লন্ডনে গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে। আর আপনি যদি লন্ডনে পড়াশোনা/ব্যবসায় কোন কাজে যান। সেক্ষেত্রে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে। আপনি এখন লন্ডনের ভিসার দাম কত তা জানতে পেরেছেন। 

লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

বর্তমানে একজন বাংলাদেশি খুব সহজে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। কিন্তু আবেদনকারীর সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস হতে হবে। এছাড়াও তাকে ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ লন্ডন সবাই ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। লন্ডনে যাওয়ার আগে, আপনাকে ইংরেজি ভাষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

 

কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রবাসী মন্ত্রণালয় থেকে একটা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে বহু সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলতে দক্ষ শ্রমিককে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ইংল্যান্ডে বসবাসরত বয়স্ক মানুষ দেখানোর কাজে নিযুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ ইংল্যান্ডে যেতে চাচ্ছেন, কাজের কাজ হল বয়স্ক ব্যক্তিদের দেখাশোনা করা। 

 

লন্ডনের ভিসার দাম কত এটা জানার পর, আপনি নিশ্চয়ই লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। এছাড়াও আপনি এটাও জেনে গেছেন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে লন্ডনে গেলে আপনাকে কি কাজ করতে হবে। এগুলো জানার পর, আপনার নিশ্চয় আগ্রহ হবে, এই ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবো।

 

আমাদের দেশে অনেক প্রতারক ভুয়া ভিসা ও পাসপোর্টের অফিস খুলে নিয়ে বসে আছে। এগুলো থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বীকৃতি প্রাপ্ত এমন প্রতিষ্ঠান ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আমাদের দেশে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতি প্রাপ্ত এমন একটি প্রতিষ্ঠান হল বিএমইটি

 

বিএমইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনি লন্ডন যেতে পারবেন। এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান রিভিউ গুগলে দেখতে পারেন। এ বছরে আমাদের দেশ থেকে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জন্য ৩৫ হাজার জনগণ নেওয়া হবে। তাই আপনি ঘরে বসে না থেকে, ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। 

লন্ডন ফ্যামিলি ভিসা

লন্ডন ফ্যামিলি ভিসা পাওয়ার, আপনাকে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে দীর্ঘ কয়েক বছর কাজ করতে হবে। দীর্ঘ কয়েক বছর কাজ করার পরে, আপনি ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য একটি শর্ত লাগবে। আপনাকে লন্ডনে স্থায়ী নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে হবে। 

 

এজন্য আপনাকে লন্ডন সরকারের কাছে স্থায়ী নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। লন্ডন সরকার যদি আপনার আবেদনটি মঞ্জুর করে। তাহলে আপনি ফ্যামিলি নিয়ে লন্ডনে বসবাস করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাতিল করে, ফ্যামিলি ভিসা রূপান্তর করতে হবে। 

স্পাউস ভিসা লন্ডন


লন্ডন স্পাউস ভিসা নিয়ে আপনি সর্বোচ্চ ৩০ মাস লন্ডনে অবস্থান করতে পারবেন। ‌ এছাড়াও আপনি যদি এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তাহলে আপনার একজন স্থায়ী নাগরিকের সাহায্য লাগবে। সেই স্থায়ী নাগরিক যদি আপনাকে রেফার করে। তাহলে আপনি লন্ডনে স্থায়ী হতে পারবেন। 

লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে


আপনি নিশ্চয়ই লন্ডন যেতে ইচ্ছুক। এই কারণে লন্ডনের ভিসার দাম কত এটা জানতে চাচ্ছেন। লন্ডনে যাওয়ার জন্য দুই রকম ভাবে ভিসা পাওয়া যায়। যারা লন্ডনে কাজ করার জন্য যায়, তাদের ভিসার নাম লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ভাষার মাধ্যমে আপনি লন্ডন গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। 


আপনি যেহেতু লন্ডনে একজন শ্রমিক হিসেবে যাবেন। আপনি কিন্তু ৩/৬ মাসের জন্য লন্ডনে যাবেন না। আপনাকে দীর্ঘ পাঁচ বছর থাকতে হবে। এ জন্য লন্ডনে যেতে আপনার সর্বনিম্ন পাঁচ লক্ষ টাকা লাগবে। সরকারি একটা বিদেশে এজেন্সির মাধ্যমে, টাকা জমা দিয়ে লন্ডন যেতে পারেন। 

লন্ডন যাওয়ার উপায়


লন্ডন ইউরোপ মহাদেশের একটি সমৃদ্ধশালী দেশ। লন্ডন ভ্রমণ করার আমাদের সবার ইচ্ছা আছে। কারণ পৃথিবীর বিখ্যাত পিরামিড লন্ডনে অবস্থিত। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক খারাপ। এই কারণে আমরা পিরামিড দেখতে লন্ডনে যেতে পারি না। কিন্তু আপনি চাইলে লন্ডনের শ্রমিক হিসেবে যেতে পারেন। 

 

লন্ডনে জাতীয় শ্রমিক হিসেবে যেতে চান, তাহলে আপনাকে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি লন্ডনের পাড়ি জমাতে পারেন। এছাড়াও ব্যবসায়িক কাজে ও পড়াশোনা করতে লন্ডনে যেতে পারবেন। কিন্তু আমাদের অনেকের কাছে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার। লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য, আপনাকে নাগরিক হতে হবে। 

 

নাগরিকত্ব লাভ করার পরে, আপনি লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে মোটামুটি ইংরেজি জানতে হবে। ইংরেজি যোগ্যতা যদি না থাকে, তাহলে আপনার ইংল্যান্ডে কোন ভিসা হবে না। তাই আপনি যদি যেতে চান, তাহলে ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করুন।

শেষ কথা

আশা করি,লন্ডনের ভিসার দাম কত ও লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও লন্ডন ফ্যামিলি ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা চালু রয়েছে। এ বছর লন্ডনে প্রচুর জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আপনি যদি লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হতে চান, তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

লন্ডনের ভিসার দাম কত এটা জানার পর, আপনি নিশ্চয় ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু আপনাকে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে, এমন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। কারণ আমাদের দেশে অনেক ভুয়া ভিসা ও পাসপোর্ট অফিস তৈরি হয়েছে। তাই আপনাকে এই বিষয়ে অনেক সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এরকম আরো ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পেতে, ভিসা সেবা ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকবেন। 

Previous articleইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ – ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আপডেট
Next articleদুবাই ভিসা চেকিং | দুবাই ভিসা চেক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here