সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা: যারা দেশের বাইরে যেতে চায়, তাদের সবার অনেক ইচ্ছা আছে সিঙ্গাপুর যাওয়ার। কারণ সিঙ্গাপুর কে বলা হয় স্বপ্নের দেশ। কিন্তু সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে,আপনাকে সিঙ্গাপুর সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। সিঙ্গাপুর প্রধানত ভ্রমণকারী একটি দেশ। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জনগণ ভ্রমণ করার জন্য সিঙ্গাপুরে যায়।

সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা

কারণ সিঙ্গাপুরে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা ভালো না। এই কারণে আমাদের দেশ থেকে যে সকল মানুষ সিঙ্গাপুর যেতে চায়, তারা সিঙ্গাপুরে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে যায়। যারা সিঙ্গাপুর প্রবাসী হিসেবে পেতে চান, তাদের অনেকের প্রশ্ন সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদি সম্পর্কে। আমরা চেষ্টা করব, আজকের আর্টিকেল সিঙ্গাপুর ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য দেওয়ার জন্য। 

সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা

আপনি নিশ্চয় সিঙ্গাপুর যেতে ইচ্ছুক। এ কারণে সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা এটা জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনাকে সিঙ্গাপুর ভিসা সম্পর্কে আগের কিছু তথ্য জানতে হবে। সিঙ্গাপুর ভিসা করার জন্য, সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত একজন ব্যক্তির রেফারেল লাগবে। অর্থাৎ সিঙ্গাপুর থেকে কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে কাজের নিমন্ত্রণ করে, তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন। 

 

সিঙ্গাপুর ভিসা করার জন্য ৩০০ ডলার ফি দিতে হবে। কিন্তু আপনাকে ন্যূনতম ৬ মাসের জন্য ভিসা ও পাসপোর্ট এর বয়স দিতে হবে। সিঙ্গাপুর ভিসা করার সময় সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দিষ্ট সময় দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি কতবছর সিঙ্গাপুরে অবস্থান করবেন, সেই তারিখ মাস ও সাল দিতে হবে। 

 

বিশেষ সতর্কতা, আপনার যদি সিঙ্গাপুরে কোন নিকটাত্মীয় না থাকে। তাহলে কখনো সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন না। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আপনার আমন্ত্রণ পত্র অনেক জরুরী। এই কারণে আপনি কোন প্রতারণার শিকার হবে না। অনেকে বিভিন্ন প্রকারের প্রলোভন দেখিয়ে আপনার থেকে টাকা হাতিয়ে নেবে। এ বিষয়ে আপনি সম্পূর্ণ সতর্ক থাকবেন। 


সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা

বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতি বছর অনেক প্রবাসী সিঙ্গাপুরে যায়। বাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগ জনগণ কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুরের ভিসা নিয়ে থাকে। কারণ সিঙ্গাপুর কাজের বেতন একটু বেশী। আপনি হয়তো শুনেছেন সিঙ্গাপুর কাজের বেতন প্রতিমাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা। আপনার ধারণা একটু হলেও মিথ্যা।

 

কারণ সিঙ্গাপুরের আপনাকে তো এমনি এমনি বেতন দিবে না। কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন নির্ধারিত হবে। কারণ সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসার অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। কাজের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হবে। 

 

ধরুন আপনি সিঙ্গাপুরে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন। আবার আপনার এক বন্ধু সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আপনাদের কাজ দুইটা কিন্তু ভিন্ন। কাজ যেহেতু ভিন্ন, তাহলে বেতনও ভিন্ন হবে। কাজের মধ্যে যেমন ভেদাভেদ রয়েছে, তেমনি বেতনের ক্ষেত্রেও সেরকম ভেদাভেদ রয়েছে। এই কারণে আপনার ভুল ধারনা কে ভাঙতে হবে। 

 

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ও পাসপোর্ট করার জন্য আপনার বাংলাদেশ টাকায় কমপক্ষে ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগবে। এই ভিসা নিয়ে আপনি সিঙ্গাপুরের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কাজ করতে পারবেন। আপনি যখন সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তখন বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সঠিক ভিসা অফিস খুঁজে নিতে হবে। কারণ আপনাকে ভিসা জালিয়াতি থেকে রক্ষা পেতে হবে। 

 

সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা

 

সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা করার জন্য, আপনাকে প্রথমে ড্রাইভিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। আপনার ড্রাইভিং ভিসায় অভিজ্ঞতা আছে কিনা, সিঙ্গাপুর প্রবাসী মন্ত্রণালয় এটা যাচাই করবে। এই কারণে আপনাকে ড্রাইভিং ট্রেনিং করার পর সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। 


এখন আপনার যদি ড্রাইভিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনার কাছে অবশ্যই ড্রাইভিং সার্টিফিকেট রয়েছে। আপনার কাছে যদি ড্রাইভিং সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে ভিসা অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিন। আমার আপনাকে যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে। তাহলে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে। 

 

ড্রাইভিং ভিসায় সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য, আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। বর্তমানে সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসার উপরে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। তাই আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে চান, তাহলে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।


সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা


আপনার যদি হোটেলের কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা নিতে পারেন। আপনার যদি হোটেল সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা থাকে। তাহলে সিঙ্গাপুর আপনার বেতন হবে ৫০ হাজারের উপরে। কারণ একজন ভাল শেফ এর চাহিদা সিঙ্গাপুর অনেক বেশি। 

 

কিন্তু আপনি যেন একজন প্রফেশনাল শেফ। এটা আগে প্রমাণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে রান্না বিষয়ে কাজে পারদর্শী, এটা প্রমাণ করার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি দিতে হবে। এছাড়াও সিঙ্গাপুরের ভিসা কত টাকা এটাও জানতে হবে। আপনার কাগজপত্র যদি সঠিক থাকেন, তাহলে খুব সহজেই সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসার নিয়ে যেতে পারবেন। 


 

সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগে


সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা এটা জানার পর, সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগবে এটা জানতে হবে। কারণ সকল ব্যক্তি সিঙ্গাপুরের প্রবেশ করতে পারবে না। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া রয়েছে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভ করতে হবে। 

 

অর্থাৎ আপনাকে বাংলাদেশের ভোটার হতে হবে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির ভোটার হওয়ার সাথে ন্যূনতম ২১ বছর বয়স হতে হবে। একজন ব্যক্তির যদি ২১ বছর পূর্ণ হয়। তাহলে সেই ব্যক্তি খুব সহজে সিঙ্গাপুর যেতে পারবে।

 

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে


আমাদের দেশে থেকে কাজের ভিসা ও ভ্রমণকারী ভিসা নিয়ে প্রতি বছর পর মানুষ সিঙ্গাপুরে যায়। সিঙ্গাপুরে আপনি যেকোন ভিসা নিয়ে যান না কেন। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি লাগবে। অর্থাৎ সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রথমত ভিসা ও পাসপোর্ট এর দরকার। আপনার ভিসা ও পাসপোর্ট সঠিক আছে কিনা, এটা আগে যাচাই করে নিবেন। 

 

তারপর আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যান, তাহলে আপনার কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কিনা। এটা যাচাই করার জন্য সিঙ্গাপুরে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা প্রমাণ দিতে হবে। বলতো এই কয়েকটা কাগজ পত্রের মাধ্যমে আপনি সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে পারেন। 



উপসংহার


আজকে আমরা শিখলাম,সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা ও সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে। এছাড়াও শিখলাম, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ও সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা কিভাবে করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় অনেক জনগন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে আজই সরকারি কোন অফিসে অফিসে যোগাযোগ করুন।

 

এছাড়াও ভিসা সংক্রান্ত কোন তথ্য জানার থাকলে, আমাদের ওয়েবসাইটে কমেন্ট করতে পারেন। সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য। এতক্ষণ আমি তার সাথে থাকার জন্য অভিনন্দন। 

Previous articleদুবাই ভিসা চেকিং | দুবাই ভিসা চেক
Next articleকানাডা ভিসা ক্যাটাগরি | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here